আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ছোটগল্পে বিধৃত পুরাতন ঢাকার জনজীবন ও সংস্কৃতির পরিচয় দাও

আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ছোটগল্পে বিধৃত পুরাতন ঢাকার জনজীবন ও সংস্কৃতির পরিচয় দাও
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস (১৯৪৩-১৯৯৭) ষাটের দর্শকের অন্যতম বিশিষ্ট গল্পকার ও কথাসাহিত্যিক। তিনি বাংলা সাহিত্যে নতুন রীতিকৌশল অবলম্বন করে এক নতুন যুগের প্রয়াস ঘটিয়েছেন। সাহিত্যে নতুন পদ্ধতি এনে ভাষা, বাক্য ও শব্দ গঠনে কিংবা শৈলীভঙ্গিতে তিনি নতুনত্ব ফুটিয়ে তুলে আত্মমগ্ন চেতনার স্বাক্ষর বহন করেছেন। তার ফেরারী ছোটগল্পের ক্ষেত্রেও রয়েছে এক অনবদ্য শিল্পনিপুণ বৈশিষ্ট্য।
ফেরারী গল্পটির ভাবকল্প ঘিরে প্রতিকল্পের বিচিত্র খেলা, নিম্নবর্গীয় স্মৃতিসত্তায় ঐতিহাসিক ঘটনার ভাবচ্ছাপ ও তার অনুক্রিয়া, জাগতিক ও অতিজাগতিক পরিমন্ডলে বিচরণ, পুরান ঢাকার ইতিহাস ও ভূগোল পরিক্রমণ ইত্যাদি সূত্রে আখ্যানশেষে যে গূঢ়লেখটি উদ্‌ঘাটিত হয় তার নন্দন আখ্যান ছাপিয়ে পাঠকমনে গভীর রেখাপাত করে। মুক্তিযুদ্ধপরবর্তী বাংলাদেশের গল্পকার সমাজজীবনের এক খণ্ডচিত্রের পাশাপাশি পুরান ঢাকার অধিবাসীদের জীবনধারা, তাদের বিচিত্র মনোজগৎ উদ্‌ঘাটিত করেছেন এই গল্পে। 
গল্পে হানিফের বাপ ইব্রাহিম ওস্তাগর বয়সোচিত কারণে শয্যাগত, মৃতপ্রায়। ডাক্তারের খোঁজে বেরিয়ে হানিফ ডাক্তার পায় না, ফেরার পথে পাঁচভাইঘাট লেনের মাথায় ক্যারামের আড্ডায় দাঁড়িয়ে পড়ে সে। বন্ধুস্থানীয় সালাউদ্দিন তাকে তার বাপের খবর জিজ্ঞেস করে, 'তর বাপে মরছে?' জিজ্ঞাসার ধরনে রাগে উত্তেজনায় হানিফের তোতলামি বাড়ে- 'ডাক্তাররে পাই না, মমউতরে ক্যামনে ঠ্যাকাই?' সালাউদ্দিন তাকে মতিন ডাক্তারকে ডাকতে নিষেধ করে; তারপর জিজ্ঞেস করে, 'তর বাপে না কাউলকাও কি যান দ্যাখছে?' হানিফ জানায়, 'হ, জিন না পরী দেইখা, রাইত ভইয়া খালি চিল্লাইছে।' 
ইলিয়াসের ফেরারী গল্পে আরেকটি উল্লেখযোগ্য চরিত্র হলো ডামলালু, সে পাড়ার ডাকসাইটে গুন্ডা, হানিফ যে ইদানীং তার শাগরেদি করছে সে খবর সালাউদ্দিনের কানে পৌছে গেছে; বলে 'সোনার চান্দ, পিতলা ঘুঘু, ডামলালুকা পাট্টিমে তুম ভি ঘুসা? আভি ট্রেনিং চল রাহা?' হানিফ বিব্রত হয়, ফলে তার তোতলামি বাড়ে, কিন্তু কথাটা তো মিথ্যা নয়। কদিন আগেই তো সে ডামলালুর সঙ্গে ঢাকা ক্লাব এলাকায় গিয়েছিল। সেদিন ডামলালু গম্ভীর স্বরে তাকে বলেছিল, "তুই খাড়াইতে পারবি না এহানে? পারবি?... পুলিশ দ্যাখলে ময়দানের দিকে চাইয়া 'জুম্মন' কইরা বহুত জোরসে ডাক পারবি, বুঝলি?" 
ডামলালু চলে যেতেই একটা সাদা জিপ গাড়ি দ্রুতবেগে ছুটে এসে দাঁড়ায় সেখানে। সেটাকে পুলিশের জিপ মনে করে হানিফ ভয়ে কাঠ হয়, আর তখনই ফিরে আসে ডামলালু। হানিফ তোতলাতে তোতলাতে বলে, "পুলিশে আইয়া পড়লো, নাইলে ঐ রিক্শার মইদ্যে ম্মালপানি বহুত মিলতো, না ওস্তাদ?” বিস্মিত ডামলালু হানিফকে ধমক দেয়, "পুলিশ পাইলে কৈ?” এবং তার কথায় সেদিনের অরাজক বাস্তবতার বিবরণ উঠে আসে: 
 "পুলিশের বাপে আছিলো বে তোতলাচোদা। দেখলি না লম্বা চুল, জুলফিআলা মস্তানগুলো ফাইব ফিফটি ফাইব মারতাছে! হ্যারা পুলিশের বাপ লাগে, বুঝলি? হালারা ইসটুডেন! 
 'ইসটুডেন? ইইসটুডেনে ক্কি করবো?'
'- তরে না একখান চটকানা দিয়া কলতাবাজার পাঠাইয়া দেই তো আরাম পাই বুঝলি?' ডামলালু খুব বিরক্ত হয়েছে, 'ইসটুডেন হালারা কি করবো তুমি জানো না, না? কেলাব থাইকা, হোটেল থাইকা সায়েবরা বারাইবো মাল টাইনা, অরা হেই গাড়িগুলো ধইরা মালপানি কামায়, মাগীউগি পছন্দ হইলে ময়দানের মইদ্যে লইয়া হেইগুলিরে লাগায়।... দিন তো অহন হালায় ইসটুডেন গো-" 
বোকার হদ্দ হানিফকে সেদিনই খারিজ করে দিয়েছিল ডামলালু। হানিফ এখন বুঝে পায় না, সালাউদ্দিন কী করে জানল সেদিনের কথা। এসময় তার ভাতিজা কামাল এসে হানিফকে খবর দেয়, "চাচা, তোমারে যাইতে কইছে। ঝলদি চলো, দাদায় না খালি জিনপরী দ্যাখতাছে।" বাবার অসুখের বাড়াবাড়ির খবর পেয়ে হানিফ বাড়ি যায়। বাড়িতে ইতোমধ্যে বড় বোন ফাতেমা ও তার স্বামী হবিবর আলী মৃধাও এসে গেছে। বাড়িভর্তি লোকজন। হানিফ, হান্নান সবাই তার খেদমতে তৎপর। নতুন ডাক্তার ভালো করে দেখে, তার মুখ গম্ভীর। তার চোখ প্রায় বন্ধ থাকে। প্রাক- মৃত্যু তার মনে এক ধরনের বিভ্রান্তি আনে। কতকাল আগের কথা, ইব্রাহিম তখন অবিবাহিত যুবক। দিনভর ঘোড়ার গাড়ি চালায়, আর রাতে লায়ন সিনেমায় ফিল্ম দেখে। এক রাতে | ফেরার সময় ভিক্টোরিয়া পার্কে এক যুবতী মেয়ে তাকে হাতের ইশারায় ডাকে। ঘোড়া দুটি ঠাঁই দাঁড়িয়ে পড়ে, তারপর চিল্লায়। সেই দুষ্টশক্তির কবল থেকে ইব্রাহিম সেদিন রক্ষা পেলেও তার মাথা তখনো পুরোপুরি ঠিক হয়নি। বিকারগ্রস্ত পিতার মুখের কাছে কন্যা ফাতেমা ঔষধ নিয়ে আসে, কিন্তু পিতার বিকট চিৎকারে সে চমকে ওঠে- "চুতমারানি, তুই গেলি না? তরে আমি জানে খতম কইরা দেই, র, খাড়া।" কোনো মান- অভিমান নেই, স্বভাবের চিরাচরিত বৈশিষ্ট্যকে অত্যন্ত নিরঙ্কুশভাবে রূপ দিয়েছেন লেখক। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস তার গল্পের চরিত্রগুলোর স্বভাবের বৈশিষ্ট্য ও মুখের ভাষায়, অসাধারণ জীবন্ত রূপ দিয়েছেন, যেন চোখের সামনে একটা পুরান ঢাকার পরিবারের সুখ-দুঃখের কাহিনি সিনেমার পর্দায় ভেসে উঠছে। ভগ্নিপতি হবিবর আলী মৃধা রাতভর কোরান তেলোয়াত করবে, কিন্তু হানিফের ঘরে কোরান নেই। হান্নানের নির্দেশে হানিফ তাই কোরান শরিফ নিয়ে যখন পুরান ঢাকার গলি-উপগলি দিয়ে ফিরে আসছে তখন তার মস্তিষ্কের শিরায়-উপশিরায় অতীন্দ্রিয় চেতনা খেলা করতে থাকে, ফলে সেও অভিভাবকগ্রস্ত হয়ে পড়ে। পাঁচভাইঘাট লেন ডিঙিয়ে কোরান শরিফ বুকে আঁকড়ে হানিফ পৌঁছে যায় বাড়ির কাছে। তখনই বাবাগো! ক্রন্দন' শুনে অকস্মাৎ হানিফ ছুটতে থাকে উল্টোদিকে, আর তখনই তার শিথিল আঙুলের ফাঁক থেকে কোরান শরিফ গড়িয়ে পড়ে। তার শূন্য মস্তিষ্কে শুকনো হাড়গোড় ফাতেমার হাহাকার ক্রন্দনধ্বনি প্রতিধ্বনি তোলে, শূন্য হাতে বিলাপ মুখরিত বাতাস ক্ষণে ক্ষণে বয়ে চলে সামনের দিকে। 
অবশেষে সে এসে থমকে দাঁড়ায় সূত্রাপুর থানার সামনে; তখন তার 'সমস্ত শরীর পুড়ে শিস বাজায়' হিম বাতাস; তার পুলিশ- ভীতি, অসহায়তা ও শূন্যতা বর্ণনায় ইলিয়াস লেখেন,
"আমি যুদি অহন থানার মইদ্যে গিয়া দরোগারে ডাইকা কই, স্যার, আমার নাম আবদুল হানিফ, আমার বাপের নাম ইব্রাহিম, মরহুম মোহাম্মদ ইব্রাহিম ওস্তাগর, কলতাবাজারের ডামলালু আমার ওস্তাদ লাগে, আমি ডামলালুর পট্টির মানু' তো হালায় ' খানকির পোলায় আমারে ধইরা রাইখা দিবো না? রাখবো তো?" গল্পের এরকম সমাপ্তিসূত্রে মনস্ক পাঠকের মনে পড়ে যায় ঢোঁড়াইয়ের কথা (দ্রষ্টব্য, সতীনাথ ভাদুড়ীর ঢোঁড়াইচরিত মানস উপন্যাস)। জীবনের বিচিত্র ঊষর পথ পেরিয়ে- স্বপ্নের জীবন ও স্ত্রী-পুত্র হারিয়ে ঢোঁড়াইও এস-ডি-ও'র কাছে যাচ্ছিল সারেন্ডার করতে, কারাগারে শেষ আশ্রয় পেতে। ফেরারী গল্পেও, কারো কারো মতে, হানিফ কারাগারকে পুরান ঢাকার ইতর জীবনযাপনের তুলনায় উৎকৃষ্ট ও নিরাপদ মনে করেছে। তবে আমাদের ধারণায়, উৎকৃষ্ট জীবনযাপনে উত্তরণ বা ইতর বা মানবেতর জীবনযাপন থেকে মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় নয়, পিতৃমাতৃহীন ও দাদার গলগ্রহ বেকার যুবক হানিফ চেয়েছে বিষয় ও বিষয়ী আশ্রয়, সদর্থে যা পুনর্বাসনই। কিন্তু তার পুলিশ-ভীতির কারণে হয়তো সেটাও তার পক্ষে সম্ভব হবে না, স্টুডেন্টদের গাড়ি দেখে যে ভয় পায়, পুলিশ তাকে ধরতে এসেছে ভেবে যার তোতলামি বাড়ে এবং ভাবে- "পুলিসরে কইয়া ফালাই, আমি রিকশা হাইজ্যাক করুম, হেই লাইগ্যা এহানে খাড়াইয়া রইছি। আমার নাম আবদুল হানিফ, কালতাবাজারের ইব্রাহিম ওস্তাগর আমার বাপ লাগে...।" সেই পুলিশভীতি থেকে দোষ-স্বীকার ও ধরা দেওয়ার একটা ভাবনা সম্ভবত হানিফের নির্জান সত্তায় লালিত হয়ে থাকবে; কারণ বাবা ইব্রাহিম ওস্তাগরের মৃত্যু ঘিরে সমবেত ক্রন্দন ও বিলাপ কানে পৌছতেই সে ঘটমান বাস্তব থেকে সরে যেতে চেয়েছে এবং নিজেকে চূড়ান্ত অসহায় ও নিরবলম্ব মনে করে পুরান ঢাকার, তারই আজন্ম চেনা গলি-উপগলি ও রাস্তা ধরে অনির্দেশ হাঁটতে থাকে অথবা বলা যায় বয়ে যায়। কিন্তু কোথায় যাবে সে? হানিফ এক স্বপ্নচারী বেকার যুবক, দাদার গলগ্রহ, বাবার মৃত্যুর পর সে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, বিষয়গত এই. বিপন্নতা বাদেও পিতা ইব্রাহিমের ইল্যুইশন ও হ্যালিসিনেশনের যে সংক্রামকটি তার মনোজগতে বিস্তার পেয়েছিল সেটি ইব্রাহিমের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে ছিন্ন হলে হানিফ মনোগতভাবেও অসহায় ও অবচ্ছিন্ন বোধ করে। সেই বোধের তাড়নেও সে হয়তো পথ হাঁটছিল, আশ্রয় খুঁজছিল। বস্তুত বিষয়মুখী ও মন্ময়, এই দুই বিচ্ছিন্নতার অনিবার্য পরিণতিতেই হানিফের স্বগত সত্তার বিলোপ ঘটে এবং তৈরি হয় এক পলায়নপর বা ফেরারি সত্তা; সেই সত্তা নিয়েই হানিফ আশ্রয় খোঁজে। আর তা খুঁজতে প্রথমে সে পুরান ঢাকার গলি-উপগলি রাস্তা-মহল্লা ধরে ছুটতে থাকে- তার বাপদাদার স্মৃতিবিজড়িত ভূমি পরিক্রমা করে- কোথাও সে ঠাঁই পায় না, কেউ তার দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয় না; তার কোনো ঘর নেই। সেই একাকিত্ব ও অসহায়তার কারণেই হানিফ ভাবে থানায় হাজির হয়ে ডামলালুর সঙ্গে একদিনের ব্যর্থ অভিযানের সত্যতা স্বীকার করবে এবং পরে জেলে আশ্রয় নেবে। হানিফ ও হানিফের মতো সব দুর্বল, ভীরু এবং ব্যর্থ যুবকের জন্য সমাজ কি সেই ঘরটাই বরাদ্দ রেখেছে? ফেরারী গল্পের শৈল্পিকবিশ্লেষণে কেউ মনে করেছেন, গল্পে ন্যায় রক্ষিত হয়নি, সুন্দর সুন্দর চিত্র আছে- কোথাও অমোঘতা নেই। আবার কেউ মনে করেছেন গল্প জমাট বাঁধেনি। কারো বিবেচনায় গল্পটিতে অতীতের স্মৃতিতাড়িত ঘটনাসূত্রে পুরান ঢাকাই দৃশ্যমান। আর আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের এই গল্পটিতে মিথের প্রয়োগ, পুরান ঢাকার অধিবাসীদের জীবনযাপন ও ভাষার নিখুঁত উপস্থাপন সাধারণভাবে মনষ্ক পাঠক ও আলোচকদের প্রশংসা পেলেও গল্পের স্থাপত্যকল্প ও গূঢ়লেখটি অনালোচিতই থেকে গেছে। বলার কথা, ভূতজ্যোৎস্নায় মায়াবিষ্ট এবং তারপরে উদ্বায়ু রোগের শিকার ইব্রাহিম ওস্তাগরের মনোজগৎ, তার অপূর্ণ সাধ-আহ্লাদ, স্বপ্ন-কল্পনার যেমন কোনো উল্লেখ নেই, সে শুধু মহাকালে ধরা বিকৃত-মস্তিষ্ক মানুষ মাত্র, তেমনি পুরান ঢাকা শহরের ইতিহাস- পুরাবৃত্তের যে চূর্ণকথা গল্পে বিবৃত, তারও বিশ্লেষণ কেউ করেননি। ভীতু দুর্বল হানিফও যে তার অবচেতনে তার বাবার অভিভাব ধারণ করে ছিল, তাও কেউ বলেননি। হানিফ যখন দেখতে পায়, কবন্ধটা শাহজাদিকে পাঁজাকোলা করে নিয়ে যাচ্ছে তখন বাপদাদার আমল থেকে প্রচল কিংবদন্তির আধারে নির্মিত মিথটি সমসময়ের বাস্তবতা ছোঁয় এবং স্টুডেন্টদের সাহেবদের সুন্দরী মহিলা অপহরণের মতো ডামলালু-বিবৃত ঘটনার সঙ্গে জুড়ে যায় আর তাতে প্রোজ্জ্বল হয় ভাবচ্ছবিটি। 

উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, বাপ ইব্রাহিম ওস্তাগরের মৃত্যুর ক্রন্দন ও বিলাপে তড়িতাহত হানিফ শুধু বিষয়গতভাবে নিরাশ্রয় হয় না, মানসিকভাবেও নিঃসঙ্গ ও নিরবলম্ব হয়ে পড়ে,– কোথাও যেন তার আশ্রয় নেই, কোনো অবলম্বন নেই। এই অসহায় হানিফই তার চেনা প্রতিবেশ থেকে সরে যেতে, এই প্রতিকূল পরিবেশ থেকে মুক্তি পেতে পুরান ঢাকার গলি-উপগলি- রাস্তা ধরে দ্রুত হাঁটতে থাকে; সে পাক খেতে থাকে স্বভূমির বৃত্তের মধ্যে, তার স্মৃতিসত্তায় বিজড়িত পুরান ঢাকার চৌহদ্দির মধ্যে বিরামহীন চক্কর খেতে খেতে একসময় সে এসে দাঁড়ায় সূত্রাপুর থানার সামনে। এভাবে ফেরারি সত্তা থেকে নিষ্কৃতির উপায় খোঁজে হানিফ।
আপনারঅদৃশ্যমন্তব্য
Cancel