লোকসাহিত্য সংগ্রহে ক্ষেত্রসমীক্ষার পদ্ধতি ও গুরুত্ব আলোচনা কর।
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শাখা হলো লোকসাহিত্য। লোকসাহিত্যের বৈচিত্র্যপূর্ণ সৃষ্টি লোকমুখে প্রচলিত হয়ে আসছে। পল্লিবাংলার সহজসরল মানুষের সুখ-দুঃখ, হাসিকান্না, প্রেম- বিরহ, আনন্দ-বেদনার কথা অতি সহজেই ফুটে ওঠে লোকসাহিত্যের মাধ্যমে। লোকসাহিত্য কালের বাঁধন। লোকসাহিত্য প্রাচীনকালের সৃষ্টি হলেও বংশপরম্পরায় তা আধুনিক মানবসমাজে এসে উপনীত হয়েছে। লোকসাহিত্য মৌলিক ধারার সাহিত্য যা অতীত ঐতিহ্য এবং বর্তমান অভিজ্ঞতাকে আশ্রয় করে রচিত হয়।
'লোক' বলতে এখন আর কেবল গ্রামের ওই কৃষিজীবী ঐতিহ্যবাহী নিরক্ষর জনগণকেই বুঝায় না। আজ 'লোক' এর সংজ্ঞার বিস্তার ঘটেছে, এখন 'লোক' বলতে আমরা বুঝি সামাজিক, ধর্মীয়, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ইত্যাদি কোনো সূত্রে যদি বেশকিছু মানুষ একত্রিত বা সংঘবদ্ধ হন, তখন বিশেষ উদ্দেশ্যে সংহত নির্দিষ্ট ওই জনসাধারণকেই 'লোক' বলি।
লোকসাহিত্য বা লোকসংস্কৃতির সম্পর্কে ধারণা ছিল যে, তা নিরক্ষর জনগণের সাহিত্য। এ পরিচয়ও পরিবর্তিত হয়ে গেছে। অর্থাৎ লোকসাহিত্য আর নিরক্ষরের সাহিত্য নয়, তা শিক্ষিত মানুষেরও সাহিত্য। তবে লোকসাহিত্য তখনই শিক্ষিত মানুষের বা নাগরিক মানুষের লোকসাহিত্য হয়, যখন নাগরিক শিক্ষিত মানুষের বা 'লোক' সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়েন। যখন কোনো একটা নির্দিষ্ট সূত্র ধরে শিক্ষা, ধর্ম, রাজনীতি, অর্থনীতি কিংবা সামাজিক বেশকিছু মানুষ হন বা সংহত হন, সে গ্রামের নিরক্ষর কিংবা শহরের শিক্ষিত, কৃষিজীবী কিংবা কারখানার শ্রমিক তখন সে সংহত জনসমষ্টিকে এক কথায় লোক বা Folk বলা হয়। আর এই লোক সমাজের সৃষ্ট সাহিত্যই লোকসাহিত্য। এ সাহিত্য মুখ্য ও মৌলিক এবং ঐতিহ্যবাহী, “একটি সংহত সমাজের মানুষ পূর্বপুরুষের কাছ থেকে মুখে মুখে বা হাতেকলমে লব্ধ জ্ঞানের এবং অভিজ্ঞতার আলোকে ঐতিহ্যনির্ভর যা কিছু সৃষ্টি করে তাকেই লোকসাহিত্য বা লোককলা বলে। লোককলা অতীতের বিষয় হলেও তা জীবন্ত। কারণ তা রূপান্তর বিবর্তনের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়ে স্থান-কাল-পাত্রের সাথে খাপখেয়ে বেঁচে থাকতে পারে।
লোককলাকে সঠিকভাবে মূল্যায়নের জন্য এর উপাদান সংগ্রহ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সংগ্রহের কাজ যত নির্ভুল ও বিজ্ঞানসম্মত হবে, লোকসাহিত্য গবেষণাও নিখুঁত ও অর্থপূর্ণ হবে। কিন্তু বিভিন্ন কবিসাহিত্যিক এই উপাত্ত সংগ্রহের ব্যাপারে সর্বাংশে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির অনুসরণ করেননি। তারা ব্যক্তির অভিপ্রায়কে অধিক মূল্য দিয়েছেন। উপরন্তু অন্যের সংগ্রহের ওপর বেশি নির্ভর করেছেন। ফল হয়েছে এই যে, তাদের গবেষণার গভীরতা, মৌলিকতা ও নির্ভরযোগ্যতা বাড়েনি। সংগ্রহ আর যুক্তিনিষ্ঠ গবেষণার তুল্যমূল্য গুরুত্ব প্রদান করা হয়।
লোকসাহিত্যের উপাত্ত সংগ্রহের সাথে ক্ষেত্রসমীক্ষা (fieldwork) ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সংগ্রহের পুরো বিষয়কে এক কথায় ক্ষেত্রসমীক্ষা বলা হয়। লৌকিক উপাদানসমূহ তাদের জীবন্ত পরিবেশ কীভাবে আছে, সরেজমিনে থেকে সেসব সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও মূল্যায়ন করাই হলো ক্ষেত্রসমীক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ক্ষেত্রসমীক্ষার চারটি স্তরের কথা বিবেচনা করা হয়েছে। যথা: ১. পরিকল্পনা, ২. পূর্ব প্রস্তুতি, ৩. ক্ষেত্রানুসন্ধান ও ৪. সমীক্ষণোত্তর অনুশীলন।
লোকসাহিত্যের পরিধি বিশাল, প্রকৃতি বিচিত্র। সবকিছু নিয়ে
একজনের পক্ষে গবেষণা করা সম্ভব নয়, এজন্য আগে তাকে একটি সুনির্দিষ্ট বিষয় নির্বাচন এবং সে বিষয়ে একটি সম্ভাব্য রূপরেখা (outline) প্রস্তুত করতে হবে। নির্বাচিত বিষয় সম্পর্কে তিনি উপাত্ত সংগ্রহ করবেন। অতএব, তার বিষয়জ্ঞান ও সংশ্লিষ্ট তত্ত্ব-জ্ঞান সম্পর্কে ধারণা থাকা
আবশ্যক। বিষয়-পরিকল্পনার সাথে সাথে কোন স্থানের উপাত্ত সংগ্রহ করবেন সেটাও নির্ধারণ করা জরুরি। সংগ্রহস্থলে যাত্রার পূর্ব প্রস্তুতির পর্ব আছে। এ স্তরটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এখানে সংগ্রাহকের নানা দায়িত্ব থাকে। যেমন-
- যে বিষয় সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হবে, সে বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত গ্রন্থাদি পাঠ করা জরুরি। • স্থানীয় মানচিত্র সংগ্রহ করতে হবে।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, পেন্সিল, ক্যামেরা, টেপরেকর্ডার, ভিডিও, টর্চ ব্যাটারি ইত্যাদি বহন করতে হবে।
- যে স্থানে ক্ষেত্রানুসন্ধান করা হবে, সে জায়গার ভূগোল, ইতিহাস, আঞ্চলিক ভাষা, সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে হবে।
- প্রশ্নোত্তর লিপি ও তালিকাসূচি প্রস্তুত এবং কাজের সম্ভাব্য সময়সীমা নির্ধারণ করতে হবে।
লোককলা সংগ্রাহকের দুটি গুণ থাকা অতি আবশ্যক, তা হলো তথ্যনিষ্ঠা ও সততা। তৃতীয় স্তরে নির্ধারিত স্থানে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়দের সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং দূরত্ব বজায় না রেখে লোকালয়ে অবস্থান করাই উত্তম।
দীনেশচন্দ্র সেন চন্দ্রকুমার দে, আশুতোষ চৌধুরী, জসীমউদ্দিনসহ অনেককে দিয়ে গীতিকা, গান, গাথা, ধাঁধা ইত্যাদি সংগ্রহ করেন। তাদের সংগ্রহের ওপর তিনি নিজস্ব কলম চালিয়েছেন। তিনি চাষাভুষার জিনিসকে ভদ্র করার চেষ্টা করেছেন। ফলে 'মৈমনসিংহ গীতিকা' ও 'পূর্ববঙ্গ গীতিকা' কতখানি খাঁটি আর কতখানি হস্তক্ষেপজনিত কৃত্রিম, তা নির্ণয় করা যায় না। সঠিক পদ্ধতি অনুসৃত হলে ক্ষিতীশচন্দ্র মৌলিককে প্রাচীন পূর্ববঙ্গ গীতিকা পুনরায় প্রকাশ করতে হতো না। এগুলো আমাদের সংগ্রহ পদ্ধতির ত্রুটিকেই নির্দেশ করে। এখন সবকিছু গোড়া থেকে শুরু করা উচিত। অতীতের সংগ্রহসমূহকে সংরক্ষণ করার প্রয়োজন আছে, Arche type, Oikotype পাঠ বিশ্লেষণ এবং Synchronic, Diachronic পদ্ধতির আলোচনার জন্য। লোকসাহিত্যের সংগ্রহ পদ্ধতি নির্ভুল হলে গবেষণার ফলাফল মৌলিক ও সত্যসন্ধী হয়। লোকসাহিত্যের উপাদানসমূহ উপযুক্তভাবে সংগৃহীত হলে সেগুলোর গুণগত ও পরিমাণগত ব্যাপ্তি ও গভীরতা সম্বন্ধে জানা যায়। বলা হয়, সঠিক পদ্ধতিতে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হলে অর্ধেক গবেষণার কাজ হয়ে যায়। এজন্য বর্তমানে বিজ্ঞানভিত্তিক প্রকৃত তথ্যদাতার অনুসন্ধান করা। তথ্যদাতার মধ্যে কে সক্রিয় ঐতিহ্যবাহক আর কে নিষ্ক্রিয় ঐতিহ্যবাহক তা লক্ষ রাখতে হবে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে- কেউ যদি লোকসংগীত সংগ্রহ করতে চান তবে সেক্ষেত্রে গায়েন বা বয়াতি হবে সক্রিয় ঐতিহ্যবাহক আর গ্রামবাসীরা হবে নিষ্ক্রিয় ঐতিহ্যবাহক। মনে রাখতে হবে যে, সংগ্রাহক ও তথ্যদাতার মধ্যে যতদূর সম্ভব দূরত্ব কমিয়ে আনা। এজন্য তাদের মধ্যে কুশল বিনিময় করা, কিছু উপহার দেওয়া ইত্যাদি প্রয়োজন হতে পারে। তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি অনুযায়ী পর্যবেক্ষণ, সাক্ষাৎকার গ্রহণ, প্রশ্নোত্তর লিপি পূরণ, তালিকা প্রস্তুত ইত্যাদি প্রক্রিয়ার আশ্রয় নিতে হবে। এসব প্রক্রিয়ার সংগৃহীত উপাত্তের অর্থ, উপলক্ষ্য, কালপাত্র, বিশেষ শব্দের অর্থ, টীকা ইত্যাদি বিষয়ে নোট করতে হবে। অর্থাৎ উপাত্তটি সে কীভাবে পেয়েছে, তার বয়স, পেশা, শিক্ষা, ঠিকানা কী ইত্যাদি রেকর্ড করতে হবে। লোককাহিনি, ধাঁধা, প্রবাদ সংগ্রহের সময় বক্তা কীভাবে ও কীরূপ ভাবভঙ্গির মাধ্যমে তা পরিবেশন করে সেসব ভিডিও তে রেকর্ড করা জরুরি। উল্লেখ্য, লোকসংগীত টেপরেকর্ডারে ধারণ করাই উত্তম। লোকশিল্পের নমুনাগুলো ক্যামেরাবদ্ধ ও তথ্যদাতার প্রদত্ত বিবরণ লিপিবদ্ধ করতে হবে। তথ্যদাতার প্রাপ্ত বিবরণ, ব্যাখ্যা, মন্তব্য সর্বত্রই বাণীবদ্ধ করতে হবে। এছাড়া সংগ্রাহকের স্বীয় পর্যবেক্ষণজনিত অভিজ্ঞতার কথাও লিপিবদ্ধ করতে হবে।
এভাবে সংগৃহীত তথ্যের সাহায্যে পরবর্তীকালে স্লাইড, স্কেচ, গ্রাফ,
স্বরলিপি ইত্যাদি তৈরি করতে সহায়ক হয়। পরিবেশনা শিল্পের জন্য ভিডিও এবং আলোকচিত্র খুবই উপকারে লাগে। সংগ্রহ গবেষণা নিজেই করতে হবে। পদ্ধতিটি নিখুঁত হওয়া অতীব আবশ্যক। আবার রেকর্ডের ক্ষেত্রে চিত্রভিত্তিক বর্ণনার পরিবর্তে সংক্ষিপ্ত
বর্ণনাই প্রত্যাশিত।
মাঠে সংগ্রাহক ও তথ্যদাতার মধ্যে সম্পর্ক হবে অন্তরস, প্রীতিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য। শিক্ষাগত যোগ্যতা যাই হোক না কেন, ব্যবধান যত লঘু হবে পদ্ধতির জন্য ততই মঙ্গল হবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, উচ্চমন্যতার ভাব একেবারেই পরিহার করা উচিত। তবে তথ্যদাতা অনেক হলেও বাধা নেই বা সমস্যা নেই; বরং বিভিন্ন উৎস থেকে সংগৃহীত তথ্য উদ্ঘাটনে অধিক সহায়তা করে। বর্তমানে তথ্যদাতা ও সংগ্রাহককে সমতুল্য মর্যাদা দেওয়া হয়। এজন্য তথ্যদাতার স্থলে 'পরস্পর তথ্য সন্ধানী' হিসেবে গণ্য করা হয়। আবার কোথাও তাকে 'ক্ষেত্র-বন্ধু' রূপেও পরিগণিত করা হয়। ক্ষেত্রসমীক্ষণের পরে চতুর্থ স্তরে আছে সংগৃহীত তথ্যসমূহের শ্রেণীকরণ, সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ, গবেষণা ইত্যাদি।
এক্ষেত্রে তথ্যদাতার ভাষ্য, ক্যামেরা-ধারণকৃত চিত্র, আলোকচিত্র, ব্যাখ্যাবিশ্লেষণ এসব কিছুর সমন্বয়ে অনেক বিষয়ে গবেষণা ও শিক্ষণ পূর্ণতা লাভ করে। বর্তমানে লোককলা চর্চায় ক্ষেত্রসমীক্ষার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। কারণ মূল বিষয় ও প্রসঙ্গ সম্পর্কে ধারণা পেতে এটাই সংগত পদ্ধতি। তবে লোকসাহিত্যের গবেষণা কেবল মূল ও প্রসঙ্গের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এখন তা intertextuality এর দিকে প্রসারিত হয়েছে। শব্দ, শব্দার্থ, অলংকার, ছন্দ, প্রতীক, রূপক ইত্যাদি প্রসঙ্গ আলোচিত হয় এই মূলের অবয়ব বৈশিষ্ট্যে। আলোচনা বিষয়গত হোক বা রূপভাষিক হোক, texture-এর গুরুত্ব সবসময় থেকে যায়।
মূল পাঠকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট এসব বিষয় আলোচনার প্রধান লক্ষ্য হলো, উপাত্তটি কোন পরিবেশে পরিস্থিতিতে জন্ম লাভ করেছে; এর সামাজিক, সংস্কৃতিক বা ধর্মীয় উপযোগিতা কী, লোকমাধ্যম হিসেবে সমাজের ভেতরে কীরূপ ভূমিকা পালন করে চলেছে, স্মৃতিতে টিকে থাকার শক্তি কোথায় ইত্যাদি বিষযের সন্ধান পাওয়া। তাই বলা হয়, ক্ষেত্রসমীক্ষার প্রাপ্ত তথ্যসমূহ লোক গবেষণার দ্বার উন্মোচিত ও ক্ষেত্র প্রসারিত করে।
উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, লোকসাহিত্য বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য। অতীত জীবনের সব স্মৃতি সামনে নিয়ে আসে। তাই এর সংরক্ষণ সংগ্রহ নতুন নতুন বিষয় আবিষ্কার অত্যন্ত জরুরি। আমাদের উচিত বৈজ্ঞানিক রাজনীতিতে লোকসাহিত্যের সংগ্রহে আত্মনিয়োগ করা, তারই ফলে আমাদের লোকসাহিত্যের বিশাল ভান্ডার সমৃদ্ধতর হবে। আমাদের লোকসাহিত্যের বিষয়গুলো সংগ্রহে করতে হবে। আমাদের ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের সাথে যত পরিচিত হবে তত তারা দেশের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারবে। যেখানে বর্ণনাকারী একা বর্ণনা প্রদানে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে সেখানে তাকে একা রেখে তথ্য নিতে হবে, আবার যেখানে বর্ণনাকারী অনেক লোকের উপস্থিতিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে সেখানে সে ব্যবস্থা করতে হবে। লোকসাহিত্য সহজসরল মানসিকতার প্রকাশে অলৌকিক চেতনা অবাধে লোকসাহিত্যের সামগ্রী হতে পারে। লোকসাহিত্য অর্থেই জনসমষ্টির রচনা। লোকসাহিত্য শুধু গ্রামীণ মানুষ সৃষ্টি করে না; বরং নাগরিক
শ্রমজীবী মানুষের সাহিত্যও এই পর্যায়ভুক্ত হতে পারে।