একদা এমনই বাদল শেষের রাতে- মনে হয় যেন শত জনমের আগে সে এসে, সহসা হাত রেখেছিল হাতে, চেয়েছিল মুখে সহজিয়া অনুরাগে। -ব্যাখ্যা কর। অথবা, শাশ্বতী কবিতার মূলভাব- আলোচনা কর।
ব্যাখ্যার জন্য নির্বাচিত অংশটুকু সুধীন্দ্রনাথ দত্তের অর্কেস্ট্রা কাব্যগ্রন্থের অর্ন্তগত শাশ্বতী নামক কবিতা থেকে আলোচনা করা হয়েছে। অর্কেস্ট্রা সুধীন্দ্রনাথ দত্তের একটি প্রেমবিরহমূলক কাব্য। কিন্তু এ প্রেমবিরহের সঙ্গে কবিতার প্রত্যেকটা কাব্যকে করেছেন সজীব ও' প্রাণবন্ত। অর্কেস্ট্রা কাব্যগ্রন্থের মূলচেতনার ধারক শাশ্বতী কবিতায় কবি প্রাকৃতিক আবহে বর্তমান থেকে কবি চলে যান অতীতে, কেননা অতীত থেকে উপলব্ধির বহমানতায় ফিরে আসেন বর্তমানে। এ কবিতার শুরুতে বর্ষার শেষ শরতের প্রথম প্রাকৃতিক দৃশ্য চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে। শরতের আগমনে পৃথিবীর নবতর সাজসজ্জা অবলোকন করা যায়। নবান্নোৎসব, মিলনোৎসব প্রভৃতি যখন আশা পুঞ্জীভূত করে মানুষের হৃদয়মন্দিরে ঠিক তখনই কবি হয়ে ওঠেন স্বপ্নকাতর। তাইতো এ কবিতায় কবি প্রেমের বহিঃপ্রকাশ করেছেন এভাবে-
একদা এমনই বাদল শেষের রাতেমনে হয় যেন শত জনমের আগেসে এসে, সহসা হাত রেখেছিল হাতেচেয়েছিলে মুখে সহজিয়া অনুরাগে।
কোনো এক বৃষ্টিবাদল রাতে কবি তার প্রিয়তমাকে স্বপ্নের মাধ্যমে খুব কাছ থেকে দেখেছেন এবং শত শত বছর আগে কবির প্রেয়সী তার হাতে হাত রেখেছিল, ভালোবাসায় ও আবেগে কবির প্রিয়তমা তার মুখপানে তাকিয়েছিল। এ কবিতায় কবি তার প্রেমের বহিঃপ্রকাশ খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন রোমান্টিক ভাবোচ্ছ্বাসে। কবি জানতেন যে প্রেম শাশ্বত নয়, তাই তিনি ক্ষণিক প্রেমের কথা এ কবিতায় ব্যক্ত করেছেন অত্যন্ত সুন্দরভাবে